জুভেনাইল স্পনডাইলাইটিস/ এনথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস 


বিবরণ 2016
diagnosis
treatment
causes
Juvenile Spondyloarthritis / Enthesitis Related Arthritis (SpA-ERA)
জুভেনাইল স্পনডাইলাইটিস/ এনথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস
জুভেনাইল এস পি এ/ এনথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস হলো গিটের দীর্ঘকালীন প্রদাহের রোগ যা একই সাথে টেনডন এবং লিগামেন্ট যেখানে হাড়ের সাথে লাগে সেখানে হয় এবং প্রধানত নি¤œাঙ্গ আক্রান্ত হয় এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে শ্রেনীচক্র এবং মেরুদন্ডের হাড়ের জোড়ায় হতে পারে (স্যাক্রোআইলাইটিস হিপ এর পেছনে বাইরের দিকে বর্ধিত অংশে ব্যাথা এবং স্পনডাইলাইটিস পেছনে ব্যাথা)। জুভেনাইল এসপিএ/ এনথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস বেশি হয় যাদের রক্তে জন্মগত উপাদান এইচ এল এ বি টুয়েনটি সেভেন পজিটিভ থাকে। এইচ এল এ বি টুয়েনটি সেভেন হলো একটা আমিষ যা ইমিউন কোষ এর বাইরের আবরনে থাকে। অদ্ভুতভাবে অল্প কিছু মানুষের এইচ এল এ বি টুয়েনটি সেভেন থাকলে গিটের প্রদাহ রোগ হয়। তাই এইচ এল এ বি টুয়েনটি লেভেন এর উপস্থিতি এই রোগের ব্যাখ্যার জন্য যথেষ্ট না । এখন পর্যন্ত এই রোগের উৎপত্তির জন্য এইচ এল এ বি টুয়েনটি সেভেন এর সঠিক ভুমিকা অজানা। যদিও এটা জানা যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গিটের প্রদাহ খাদ্যনালী অথবা মুত্রনালী এবং প্রজনন অঙ্গের সংক্রমনের জন্য হয় (একে বলে রিএকটিভ আর্থাইটিস)। জুভেনাইল এস পি এ/ এনথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস এর সাথে খুব স্পানডাইলাইটিস মিল আছে এবং বেশির ভাগ গবেষক বিশ্বাস করেন এই রোগ একইভাবে উৎপত্তি হয় এবং বৈশিষ্ট্য একই। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, 'জুভেনাইল স্পনডাইলাইটিস' 'এনথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস এবং কিছু সোরিয়াটিক আর্থাইটিস' এর রোগের ধরন ও চিকিৎসা একই রকম। কি কি রোগকে জুভেনাইল এস পি এ/ এনথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস বলে ? উপরে উল্লেখ করা হয়েছে জুভেনাইল স্পনডাইলাইটিস সমষ্টি রোগ যাদের রোগের বৈশিষ্ট্য একই রকম এবং এর ভিতর অন্তর্ভূক্ত এক্সিয়াল এবং পেরিফেরাল স্পনডাইলাইটিস এ্যনকাইলোজিং স্পনডাইলাইটিস, আনডিফারেনসিয়েটেড স্পনডাইলাইটিস, সোরিয়াটিক আর্থাইটিস, রিয়াকটিভ আর্থাইটিস, আর্থাইটিস যার সাথে ক্রনস রোগ এবং আলসারেটিভ কলাইটিস। এনথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস এবং সোরিয়াটিক আর্থাইটিস জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থাইটিস এর শ্রেনীবিন্যাস থেকে দুইটা আলাদা অবস্থা এবং জুভেনাইল এসপিএ এর সাথে সম্পর্কিত। কি পরিমান লোকের মধ্যে এটা দেখা যায় ? জুভেনাইল এসপিএ/ এনথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস বাচ্চাদের একটা অন্যতম প্রধান দীর্ঘস্থায়ী গিটের প্রদাহ এবং এটা মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের বেশি হয়। সারা পৃথিবীতে শতকরা ৩০ ভাগ বাচ্চাদের দীর্ঘস্থায়ী গিটের প্রদাহ আছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রথম রোগের উপসর্গ দেখা দেয় ৬ বছরের সময়। শতকরা ৮৬ ভাগ জুভেনাইল এসপিএ/ এনথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস এর রোগী এইচ এল এ বি টুয়েনটি সেভেন এর বাহক। এ রোগের কারন কি ? জুভেনাইল এসপিএ/ এনথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস এর কারন অজানায় যদিও এইচ এল এ বি টুয়েনটি সেভেন ও আরো কিছু জিন এর উপস্থিতি এ রোগের প্রবনতা বাড়ায়। এখন ধারনা করা হচ্ছে যে, এই রোগের সাথে সম্পর্কিত এইচ এল এ বি টুয়েনটি সেভেন যথাযথভাবে তৈরি হতে পারে না এবং যখন এটা কোষে ও তাদের উৎপাদিত উপাদানের সাথে পরস্পরের উপর ক্রিয়া করে তখন এ রোগ হতে পারে। এটা গুরুত্ব পূর্ণ যে, এইচ এল এ বি টুয়েনটি সেভেন এ রোগের কারন না কিন্তু এটা একটা সম্ভাব্য উপাদান। এটা কি বংশগত রোগ ? এইচ এল এ বি টুয়েনটি সেভেন এবং অন্যান্য জিন জুভেনাইল এসপিএ /এনথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস এর সম্ভাব্যতা বাড়ায়। আমরা জানি যে, এ রোগে আক্রান্ত শতকরা ২০ ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে প্রথম বা দ্বিতীয় ধাপের আতœীয় এর মধ্যে এ রোগ দেখা যায়। আমরা এসপিএ/ এনথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটি কে বংশগত বলতে পারি না। যাদের এইচ এল এ বি টুয়েনটি সেভেন থাকে তাদের শতকরা ০১ ভাগ লোকের এ রোগ হয়। অন্যভাবে বলা যায় শতকরা ৯৯ ভাগ লোক যাদের এইচ এল এ বি টুয়েনটি সেভেন আছে তাদের কখনো এসপিএ/এনথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস হয়না। এটা কি প্রতিরোধ করা যায় ? প্রতিরোধ করা সম্ভব না, যেহেতু এ রোগের কারন এখনও জানা যায় নাই। অন্যান্য ভাইবোন বা আতœীয়দের এইচ এল এ বি টুয়েনটি সেভেন করার কোন প্রয়োজন নাই যদি তাদের জুভেনাইল এসপিএ/ এনথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস এর কোন উপসর্গ না থাকে। এটা কি সংক্রামক ? জুভেনাইল এস পি এ/ এনথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস সংক্রামক রোগ না। সকল লোক একই সাথে একই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে সবার জুভেনাইল এসপিএ এনথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস হয় না। প্রধান উপসর্গ কি ? জুভেনাইল এস পি এ/ এনথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস রোগের সাধারন কিছু বৈশিষ্ট আছে। গিটের প্রদাহ। গিটের ব্যাথা ও ফুলা, একই সাথে নড়াচড়া কমে যাওয়া হলো সবচেয়ে সাধারন বৈশিষ্ট্য। অনেক বাচ্চারাই নি¤œাঙ্গে ওলিগোআর্থাইটিস থাকে। ওলিগোআর্থাইটিস বলতে বুঝায় ৪ বা এর চেয়ে কম গিট আক্রান্ত হওয়া। যাদের দীর্ঘকালিন রোগ হয় তাদের ক্ষেত্রে পলিআর্থাইটিস হতে পারে। পলি আর্থাইটিস বলতে বুঝায় ৫ বা এর চেয়ে বেশি গিটে আক্রান্ত হওয়া। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হাটু, পায়ের গোড়ালী, পায়ের পাতা ও কোমড়ের গিট আক্রান্ত হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পায়ের পাতার ছোট গিটে আক্রান্ত হতে পারে। কিছু বাচ্চার ক্ষেত্রে উর্ধাঙ্গের যেকোন গিট আক্রান্ত হতে পারে বিশেষ করে সোলডার। এনথেসাইটিস এনথেসাইটিস হলো এনথেসিস এর প্রদাহ (হাড়ের যেখানে টেনডন বা লিগামেন্ট লাগে)। এটা দ্বিতীয় অন্যতম প্রধান উপসর্গ যে সব বাচ্চাদের এসপিএ এনথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত এনথেসিস হলো পায়ের গোড়ালি, পায়ের পাতা এর মাঝামাঝি এবং নিক্যাপ। পায়ের গোড়ালির ব্যাথা, পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া ও ব্যাথা এবং হাটুর ক্যপসুলে ব্যাথা। দীর্ঘস্থায়ী এনথেসিস এর প্রদাহ বোনি এসপারস্ (হাড়ের বেশি বৃদ্ধি) করে এবং এ ফলে পায়ের গোড়ালির ব্যাথা হয় অনেক ক্ষেত্রে। স্যাক্রোআইলাইটিস স্যাক্রোআইলাইটিস বলতে স্যাক্রোইলিয়াক গিটের প্রদাহকে বুঝায় যা পেলভিস এর কাছাকাছি থাকে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা খুবই কম হয় এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটা গিটের প্রদাহের ৫ থেকে ১০ বছর পরে হয়। অন্যতম প্রধান উপসর্গ পর্যায়ক্রমে পাছায় ব্যাথা। পেছনে ব্যাথা, এসপনডাইলাইটিস মেরুদন্ড আক্রান্ত খুব কম ক্ষেত্রেই হয়, কিছু বাচ্চার ক্ষেত্রে রোগের অনেক দিন পরে এটা হতে পারে। রাতে পেছনে ব্যাথা, সকালে গিটের অকার্যকারী এবং নড়াচড়া কমে যাওয়া অন্যতম প্রধান উপসর্গ। অনেক ক্ষেত্রেই পেছনে ব্যাথার সাথে ঘাড়ে ব্যাথা থাকে এবং অল্প কিছু ক্ষেত্রে বুকে ব্যাথা হতে পারে। অল্প কিছু রোগীর ক্ষেত্রে এ রোগের জন্য হাড়ের বেশি বৃদ্ধি হয় এবং মেরুদন্ডের হাড় কাছাকাছি চলে আছে এবং একটার সাথে একটা লেগে যায়, যদি রোগ বেশি দিন দীর্ঘস্থায়ী হয়। যদিও এটা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কখনো দেখা যায় না। চোখ আক্রান্ত হওয়া। এ্যাকুইট এ্যান্টেরিয়র ইউভাইটিস হলো চোখের আইরিস এর প্রদাহ। যদিও এই সমস্যা খুবই কম দেখা যায় তবে এক তৃতীয়াংশ রোগীর ক্ষেত্রে এক বা একাধিক বার এ সমস্যা হতে পারে।এ্যাকুইট এ্যানটেরিয়র ইউভাইটিস উপস্থাপিত হয় চোখে ব্যাথা, চোখ লাল হওয়া এবং চোখে ঝাপস্যা দেখা কয়েক সপ্তাহ ধরে। এটা সাধারনত এক বার এক চোখে হয় এবং বার বার হতে পারে। খুব দ্রুত একজন চক্ষু বিশেষষ্ণ ডাক্তার দেখিয়ে এটা নিয়ন্ত্রন করা উচিত। এধরনের ইউভাইটিস যেসব মেয়েদের অলিগোআর্থাইটিস বা এনটিনিউক্লিয়ার এনটিবডি থাকে তাদের থেকে আলাদা। চামড়া আক্রান্ত হওয়া। অল্প কিছু সংক্ষক বাচ্চা যাদের জুভেনাইল এস পি এ এ্যানথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস আছে তাদের ইতোসধ্যে সোরিয়ামিম আছে বা হতে পারে। এসব রোগীদেও এনথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস পরিবর্তন করে সোরিয়াটিক আর্থাইটিস বলা যায়। সোরিয়াসিস হলো দীর্ঘমেয়াদী চর্মরোগ যাতে কনুই ও হাটুতে প্যাচ অফ এসক্যালিং, ইসকিং থাকে। দীর্ঘদিনের চর্মরোগ গিটের প্রদাহকে তরান্নিত করে। অন্যান্য রোগীদের ক্ষেত্রে প্রথম সোরিয়াসিস এর দাগ দেখা দেবার আগেই বহু বছরের গিটের প্রদাহ থাকে। খাদ্য নালী আক্রান্ত হওয়া। কিছু বাচ্চা যাদের খাদ্যনালীর প্রদাহ অসুখ আছে যেমন ক্রোন স ডিজেজ এবং আলসারেটিভ কোলাইটিস তাদের স্পনডাইলাইটিস হতে পারে। এনথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস এর ভিতর খাদ্যনালীর প্রদাহ পরে না যদিও এটা এর একটা উপাদান। কিছু কিছু বাচ্চার খাদ্যনালীর প্রদাহ খাদ্যনালীর উপসর্গ ছাড়া থাকে এবং গিটের উপসর্গ খুববেশি থাকে, এদের সঠিক চিকিৎসা দরকার। এই রোগটা কি সব বাচ্চার ক্ষেত্রে একই রকম হয় ? যদিও কিছু বাচ্চার ক্ষেত্রে এ রোগ মৃদু এবং অল্প সময়ের অসুখ। অন্যদের ক্ষেত্রে এটা অত্যন্ত কড়া ও দীর্ঘস্থায়ী এবং অক্ষমকারী রোগ। অনেক বাচ্চার ক্ষেত্রে শুধু মাত্র একটা গিট আক্রান্ত হয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে এবং কখনোই একই চিত্র নিয়ে আসে না অথবা বাড়তি বৈশিষ্ট বাকি জীবনে, যদিও অন্যান্যদের বিভিন্ন গিটের রোগের উপসর্গ স্থায়ী হয়, এ্যানথেসাইটিস, মেরুদন্ড এবং স্যাক্রোআইলিয়াক গিট। এ রোগ কি বড়দের চেয়ে বাচ্চাদের আলাদা ? প্রথমদিকে জুভেনাইল এসপিএ /এনথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস পূর্নবয়স্ক এসপিএ থেকে আলাদা, কিন্তু বেশির ভাগ উপাত্ত ইঙ্গিত করে যে একই গোত্রের রোগ। হাত পায়ের গিটের রোগ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাচ্চাদের হয় তুলনামূলকভাবে মেরুদন্ডের এবং স্যাক্রোআইলিয়াক গিট বেশি আক্রান্ত হয় পূর্ণ বয়স্কদের । রোগের প্রকোপ বেশি বাচ্চাদের পূর্ণবয়স্কদের তুলনায়। রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা। কিভাবে রোগ নির্নয় করা হয় ? চিকিৎসকগন জুভেনাইল এসপিএ/ এনথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস রোগ নির্ণয় করেন যদি প্রথম রোগের উপসর্গ দেখা দেয় ১৬ বছরের আগে গিটের প্রদাহ স্থায়ী হয় ৬ সপ্তাহের বেশি এবং উপরে উল্লেখ করা সংঙ্গ এবং উপসর্গের মত বৈশিষ্ট্য হয়। নির্দিষ্ট এসপিএ/ এনথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস এর রোগ নির্নয় করা হয় নির্দিষ্ট ক্লিনিক্যাল ও রেডিওলোজিক্যাল বৈশিষ্ট্য দিয়ে এটা পরিষ্কার যে এসব রোগীদের চিকিৎসা এবং ফলো আপ করা হয় শিশু বাত রোগ বিশেষষ্ণ বা পূর্নবয়স্কদের বাতরোগ বিশেষষ্ণ যাদের শিশুদের বাত রোগ বিষয়ে অভিজ্ঞকা আছ। পরীক্ষার গুরুত্ব কি ? এইচ এল এ বি টুয়ানটি সেভেন পরীক্ষা পজিটিভ হলে এটা খুবই উপকারী জুভেনাইল এসপিএ এনথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস রোগ নির্নয়ের জন্য বিশেষ করে একটা উপসর্গ যুক্ত বাচ্চাদের এটা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে শতকরা এক ভাগ এর ও কম লোক যাদের এই নির্দেশক উপস্থিত আছে তাদের স্পনডাইলাইটিস হতে পারে এবং এইচ এল এ কি টুয়ানটি সেভেন এর উপস্থিতি সাধারন লোকের মধ্যে শতকরা ১২ ভাগেরও বেশি, পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের উপর নির্ভর করে। এটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে অনেক বাচ্চারাই বিশেষ কিছু খেলা করলে আঘাত পায় এবং প্রাথমিক অবস্থায় এর উপসর্গ জুভেনাইল এসপিএ/ এ্যানথেসাইটিপস রিলেটেড আর্থাইটিস এর মত। এ কারনে শুধু এইচ এল এ বি টুয়ানটি সেভেন এর উপস্থিতি না বরং কিছু বৈশিষ্ট্যযুক্ত উপসর্গের সাথে এটা থাকলে এসপিএ/ এনথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস ইঙ্গিত করে। উদাহরন স্বরূপ ইরাইথ্রোসাইট সোডিমেনটেশন রেট (ইএসআর) অথবা সি রিএ্যাকটিভ প্রোটিন (সিআরপি) সাধারন প্রদাহ সম্পর্কে তথ্য দেয় এবং পরোক্ষভাবে প্রদাহ জনিত রোগের সক্রিয়তা সম্পর্কে। ইহা খুবই উপকারী রোগের চিকিৎসার জন্য যদিও পরীক্ষাগারের পরীক্ষার চেয়ে ক্লিনিক্যাল উপসর্গেও ভিত্তিতেই প্রধানত চিকিৎসা করা হয়। পরীক্ষাগারের পরীক্ষা এ ছাড়াও করা হয় ঔধষের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষন করার জন্য। এক্সরে করা হয় রোগের ক্রমবিকাশ দেখা এবং গিটের কোন ক্ষতি হয়েছে কিনা রোগের জন্য তা দেখা। যদিও বাচ্চাদের এস পি এ /এ্যানথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস এর ক্ষেত্রে এক্সরে এর গুরুত্ব সিমীত। বেশির ভাগ বাচ্চাদের এক্সরে স্বাভাবিক থাকে এবং কথন গিটের আল্ট্রাসনোগ্রাফি অথবা ম্যাগনেটিক রিজোনেনস ইমেজিং (এম আর আই) করে এবং এনথেসিস থাকলে এরোগের প্রাথমিক প্রদাহের ইঙ্গিত দেয়। এম আর আই দ্বারা রেডিয়েশন ব্যাবহার করা ছাড়াই স্যাক্রোআইলিয়াক অথবা মেরুদন্ডের গিটের প্রদাহ নির্নয় করা যায়। পাওয়ার ডপলার সিগনালসগ গিটের আল্ট্রাসনোগ্রাম করে পেরিফেরাল আর্থাইটিস এবং এ্যানথেসাইটিস এর প্রচন্ডতা সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়। এটা কি চিকিৎসা করা যায়/ভাল হয় ? দুর্ভাগ্যজনক যে এসপিএ /এ্যানথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস এর আরোগ্য লাভের চিকিৎসা এখনও নাই যেহেতু এর কারন অজানা। যদিও বর্তমান চিকিৎসা রোগের কার্যকারীতা নিয়ন্ত্রনে রাখা এবং গিটের কাঠামোর ক্ষতি প্রতিরোধ করার জন্য খুবই উপকারী। এর চিকিৎসা কি ? চিকিৎসা প্রধানত করা হয় ঔষধ দিয়ে এবং ব্যায়াম/ পূনর্বাসনের মাধ্যমে যা গিটের কার্যকারীতা বজায় রাখে এবং বিকলতা রোধ করে। এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, ঔষধের ব্যবহার নির্ভর করে স্থানীয় নিয়ন্ত্রনকারী সংস্থার অনুমোদন এর উপর। নন স্টেরয়েডাল এন্টিইনফ্লামেটরী ঔষধ (এনএসএআইডিএস) এই ঔষধগুলো প্রদাহ নিয়ন্ত্রনে এবং পরের জন্য ব্যবহৃত হয়। সিমটোমেটিক বলতে বুঝায় প্রদাহ জনিত উপসর্গ থাকা বেশির ভাগ বাচ্চাদের ক্ষেত্রেই ন্যাপ্রোক্সেন, ডাইক্লোফেন এবং আইবোপ্রুফেন ব্যবহৃত হয়। এগুলো ভালই সহনীয়, বেশির ভাগ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলো পাকস্থলির অস্বাচ্ছন্দতা বোধ করা যা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খুবই কম হয়। এনএসএআইডিএস একত্রিত করে ব্যবহার করা যুক্তিযুক্ত না, যদি একটা এনএসআইডি এর কার্যকারীতা কম হয় বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় তবে একটা পরিবর্তন করে অন্যটা দেয়া হয়। করটিকোএসটেরয়েড প্রচন্ড উপসর্গ যুক্ত রোগীর ক্ষেত্রে এ ঔষধ অল্প সময়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। টপিক্যাল (চোখের ফোটা) করটিকোএসটেরয়েড একুইট এ্যানটেরিয়র ইউভাইটিস এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। প্রচন্ড রোগের ক্ষেত্রে পেরিবালবার ইনজেকশন অথবা সিসটেমিক করটিকোএসটেরয়েড দেয়া হয়। গিটের প্রদাহ বা এনথেসাইটিস এর জন্য যদি করটিকোএসটেরয়েড ব্যাবহারের নির্দেশ দেয়া হয় তবে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে বাচ্চাদের এসপিএ/ এ্যানথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস এর জন্য এর কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তার বিষয়ে সটাডি আছে কিনা। কিছু ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ লোকের মতামত নেয়া এর ব্যবহারে সহায়তা করে। অন্যান্য চিকিৎসা (ডিজেজ মডিফাইং ঔষধ) সালফাসালাজিন এসব ঔষধ নির্দেশ করা হয় যেসব বাচ্চাদের পেরিফেরাল ডিজেজ এর আবির্ভাব থাকে যদি যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয় এনএসআইডিএস এবং ইনট্রালেশনাল করটিকোএসটেরয়েড ইনজেকশন দিয়ে। সালফাসালজীন যোগ করা হয় পূর্বেও এসএসএআইডি চিকিৎসার সাথে (যা চালিয়ে যেকে হবে) এবং এর কার্যকারিতা দেখা যায় কয়েক সপ্তাহ অথবা মাস চিকিৎসার পর যদিও এসব বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সালফাসালজিন এর কার্যকারিতা খুবই সীমিত। একইসাথে এদের বহুল ব্যবহারের ফলে জুভেনাই এসপিএ/ এ্যানথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস এ মেথোট্রেক্সেট, লেফ্লুনামাইড অথবা এন্টিম্যালেরিয়াল ঔষধের কার্যকারীতার পরিষ্কার কোন প্রমান নাই। জৈব উপাদান। এই রোগের প্রাথমিক ধাপের চিকিৎসার এ্যান্টিটিউমর নেক্রোসিস ফ্যাকটর (টিএসএফ) অনুমোদিত কারন প্রদাহ জনিত উপসর্গ চিকিৎসায় এর কার্যকারীতা যথেষ্ট। প্রচন্ড জুভেনাইল এসপিএ/ এ্যানথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস এর রোগীদের ক্ষেত্রে এসব ঔষধের কার্যকারীতা ও নিরাপত্তার বিষয়ে প্রমান আছে। এসব প্রমানাদি স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রধানদের নিকট পেশ করা হয়েছে এবং অপেক্ষা করা হচ্ছে এসপিএ /এ্যানথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস এ এদের অনুমোদিত ব্যবহারের। ইউরোপীয় কিছু দেশে ইতিমধ্যে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এ্যান্টি টিএনএফ উপাদানের ব্যবহার অনুমোদিত। গিটে সুচি প্রয়োগ গিটে সুবিধা প্রয়োগ করা হয় যখন একটি অথবা খুব কম গিট আক্রান্ত হয় এবং যখন দীর্ঘদিনের গিটের বিকলতা করে। সাধারনভাবে দীর্ঘকার্যকারী করটিকোএসটেরয়েড সুচি প্রয়োগের মাধ্যমে দেয়া হয়। এটা অনুমোদিত যে শিশুদের হাসপাতাল এ ভর্তি করে ঘুম পাড়িয়ে রাখতে হবে এ প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পাদন করার জন্য । হাড় সম্মন্ধিয় শৈল্যচিকিৎসা। শৈল্য চিকিৎসা প্রধানত নির্দেশ দেয়া হয় প্রচন্ড গিটের ক্ষতি বিশেষ করে হিপ এ যখন প্রোসথেটিক গিট প্রতিস্থাপন করা হয়। ব্যায়াম ব্যায়াম চিকিৎসার একটা প্রয়োজনীয় উপাদান। এটা প্রথমেই শুরু করতে হবে এবং চলার গতি সঠিকভাবে চালানো, মাংশপেশীর বর্ধন ও বল সন্ধিগত বিকলতা সংশোধন করার জন্য এটা নিয়মিত করতে হবে। যদি এ্যাক্সিয়াল আক্রান্ত সুস্পষ্ট হয় সে ক্ষেত্রে মেরুদন্ড অবশ্যই কার্যকর রাখতে হবে এবং শ্বাস প্রশ্বাস সম্মর্কীয় ব্যায়াম করতে হবে। ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি ? জুভেনাইল এস পি এ/এ্যানথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস এ যে সব ঔষধ ব্যবহার করা হয় তা ভাল সহনীয়। সালফাসালাজিন ন্যায় সংগত ভাবে ভালই সহনীয়। অন্যতম প্রধান পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলো পাকস্থলীর সমস্যা, যকৃতের এনজাইম বেড়ে যাওয়া, রক্তে শ্বেত রক্ত কনিকার সংখ্যা কমে যাওয়া এবং চামড়ার প্রতিক্রিয়া। সম্ভাব্য ক্ষতি দেখার জন্য বারবার পরীক্ষাগারের পরীক্ষা করতে হবে। সালফাসালাজিন ন্যায় সংগত ভাবে ভালই সহনীয়। অন্যতম প্রধান পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলো পাকস্থলীর সমস্যা, যকৃতের এনজাইম বেড়ে যাওয়া, রক্তে শ্বেত রক্ত কনিকার সংখ্যা কমে যাওয়া এবং চামড়ার প্রতিক্রিয়া। সম্ভাব্য ক্ষতি দেখার জন্য বারবার পরীক্ষাগারের পরীক্ষা করতে হবে। বেশি পরিমান করটিকোএসটেরায়ড যদি দীর্ঘদিন ধরে দেয়া হয় তবে প্রচন্ড থেকে প্রচন্ডতর ক্ষতি হতে পারে শারীরিক বৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং অসটিও পোরেসিস। বেশি পরিমান করটিকোএসটেরায়ড ক্ষুধা বাড়ায় এবং মারাতœক ভাবে ওজন বাড়ে। এটা এজন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে শিশুদের শিক্ষা দিতে হবে যে খাবারে ক্যালরী বাড়ায় না তা খাওয়া। বশেি পরমিান করটকিোএসটরোয়ড যদি র্দীঘদনি ধরে দয়ো হয় তবে প্রচন্ড থকেে প্রচন্ডতর ক্ষতি হতে পারে শারীরকি বৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং অসটওি পোরসেসি। বশেি পরমিান করটকিোএসটরোয়ড ক্ষুধা বাড়ায় এবং মারাতœক ভাবে ওজন বাড়।ে এটা এজন্য খুবই গুরুত্বর্পূণ যে শশিুদরে শক্ষিা দতিে হবে যে খাবারে ক্যালরী বাড়ায় না তা খাওয়া। কতদিন পর্যন্ত চিকিৎসা চালাতে হবে ? উপসর্গ সম্মন্ধীয় চিকিৎসা দিতে হবে যতদিন উপসর্গ থাকে এবং রোগের সক্রিয়তা থাকে। রোগের স্থিতিকাল কিছু রোগীদের ক্ষেত্রে এনএসএআইডিএস গিটের প্রদাহে খুবই ভাল কার্যকরী। এসব রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসা তাড়াতাড়ি বন্ধ করতে হবে। কয়েক মাসের ভিতর। অন্য রোগীদের ক্ষেত্রে যাদের দীর্ঘস্থায়ী রোগ অথবা রোগের গতি আক্রমনাতœক তাদের অনেক বছর ধরে সালফাসালাজিন এবং অন্যান্য ঔষধ দরকার সব ঔষধ বাদ দিতে হবে যদি দীর্ঘদিন ধরে এবং সম্পূর্ণভাবে ঔষধের মাধ্যমে রোগ নিষ্কৃত থাকে। আনকনভেনশনাল /পরিপূরক চিকিৎসা কি ? অনেক পরিপূরক এবং বিকল্প চিকিৎসা আছে এবং ইহা রোগী ও তাদের পরিবারকে এলোমেলো করে। সাবধানতা সহকারে এদের ক্ষতি ও উপকারীতা সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে যেহেতু এদের ্্উপকারীতার প্রমান খুবই সামান্য এবং এগুলো খুবই দামী যেহেতু দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে হয়। যদি তুমি আবিষ্কারের উদ্দেশ্যে পরিপূরক এবং বিকল্প চিকিৎসা দিতে চাও, তাহলে শিশু বাত বিশেষষ্ণ এর সাথে আলোচনা করতে হবে। কিছু চিকিৎসা প্রচলিত ঔষধের উপর ক্রিয়া করতে পারে। ডাক্তাররা বন্ধ দিবেনা এবং চালিয়ে যাবে চিকিৎসা বিষয়ক উপদেশ। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা পত্রের ঔষধ বন্ধ না করা। যখন রোগ নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য ঔষধের দরকার হবে এবং রোগ যদি কার্যকরী থাকে তখন ঔষধ বন্ধ করা খুবই বিপদজনক। এ রোগ কতদিন স্থায়ী হয় ? এ রোগের ভবিষ্যত কি ? বিভিন্ন রোগীর ক্ষেত্রে এরোগের গতি বিভিন্ন ধরনের। কিছু রোগীর ক্ষেত্রে গিটের প্রদাহ চিকিৎসার দ্বারা খুব দ্রুত ভাল হয়। অন্যদের ক্ষেত্রে এ রোগের বৈশিষ্ট্য হলো নিয়মিত ব্যবধানে রোগ ভাল হওয়া এবং রোগের আবির্ভাব হওয়া। শেষ পর্যন্ত অন্যান্য রোগীদের ক্ষেত্রে গিটের প্রদাহ অবিরাম গতিতে হয়। বেশির ভাগ রোগীদের ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় রোগের উপসর্গ পেরিফেরাল গিটের প্রদাহ এবং এ্যানথেসাইটিস। রোগের ক্রমবৃদ্ধি হলে কিছু শিশুদের ক্ষেত্রে স্যাক্রোআইলিয়ক এবং মেরুদন্ডের গিট আক্রান্ত হতে পারে। যে সব রোগীদের দীর্ঘকালীন পেরিফেরাল গিটের প্রদাহ এবং অ্যাক্সিয়াল উপসর্গ থাকে তাদের পূর্ণবয়স্ক অবস্থায় গিটের ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। রোগের শুরুতেই দীর্ঘকালীন ফল সম্পর্কে ভবিষ্যত বলা অসম্ভব। যথাযথ চিকিৎসা রোগের গতি ও ফলাফলকে তরান্বিত করতে পারে। প্রতিদিনের জীবন যাপন। কিভাবে এ রোগ শিশু এবং তাদের পরিবারের প্রতিদিনের জীবন যাপন প্রভাবিত করে। প্রায়সব বাচ্চাদেরই সক্রিয় গিটের প্রদাহে প্রতিদিনের জীবন যাপন সীমাবন্ধতা পরিলক্ষিত হয়। যেহেতু নি¤œাঙ্গ আক্রান্ত হয় তাই এ রোগে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হাটা এবং খেলাধুলার সমস্যা হয়। এই রোগের সাথে সম্পর্কিত অসুবিধাগুলো অতিক্রম করার জন্য, স্বনির্ভরতা ও দৈহিকভাবে সচল থাকার জন্য অভিভাবকদের সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি তেিদর এরোগের বোঝা বহন করতে না পারে বা কঠিন মনে করে তবে মানসিক সাহায্য প্রয়োজন। পিতামাতা তাদের বাচ্চাদের ব্যায়াম করতে এবং নির্দেশনা মত ঔষধ খাওয়াতে উৎসাহ দিবে ও সাহায্য করবে। বিদ্যালয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কি ? কিছু ব্যাপার আছে যা বাচ্চাদের স্কুলে উপস্থিতির ব্যাপারে সমস্যা করে যেমন হাটা, ক্লান্তিভাব, ব্যাথা অথবা গিট অনমনীয়। তাই শিশুদের শিক্ষকদের জানানোও খুব গুরুত্বপূর্ণ যথাযথ টেবিল, নিয়ামত নড়াচড়া স্কুলে থাকাকালীন সময় গিটের অনমনীয়তা প্রতিরোধ করার জন্য যখন তাদের রোগটা নিয়ন্ত্রনে থাকবে তখন তাদের সমবয়সি অন্যান্য বাচ্চাদের মত একই ধরনের কাজে অংশ গ্রহন করতে বাধা থাকবে না। বিদ্যালয় হল একটা শিশুর সেই জায়গা যা তাকে শিক্ষা দেয় কিভাবে স্বনির্ভর ও সক্ষম লোক হওয়া যায়। পিতামাতা এবং শিক্ষকরা তাদের সহায়তা করবে কিভাবে তারা বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কাজে অংশ গ্রহন করতে পারবে। শুধুমাত্র বিদ্যালয়ের কাজ সফলতার সাথে করা না, এ ছাড়াও তার সমবয়সী বাচ্চা এবং বড়দের মত সবকিছু গ্রহন করতে পারে এবং মূল্যায়ন করতে পারে। খেলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কি ? নিয়মিত খেলাধুলা করা একটা স্বাভাবিক বাচ্চার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যেসব খেলাধুলা গিটের উপর চাপ কম দেয় বা দেয় না যেমন সাঁতার, সাইকেল চালানো অনুমোদিত। খাবারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কি ? এমন কোন প্রমানাদি নাই যে খাবার এ রোগ বাড়ায়। স্বাভাবিক ভাবে বাচ্চারা তাদের বয়স অনুসারে সুষম ও স্বাভাবিক খাবার খাবে। যেসব বাচ্চারা করটিকোএসটেরয়েড পায় তারা অতিরিক্ত খাওয়া বাদ দিবে কারন এ ঔষধ ক্ষধা বাড়ায়। এ রোগের গতি কি আবহাওয়া তরন্বিত করে ? এ রোগরে গতি কি আবহাওয়া তরন্বতি করে ? বাচ্চারা কি টিকা নিতে পারবে ? যেহেতু বেশিরভাগ বাচ্চারাই এনএসআইডিএম বা সালফাসালাজিন এর মাধ্যমে চিকিৎসা পায় তাই তারা স্বাভাবিক নিয়মে টিকা নিতে পারবে। যে সব বাচ্চাদের বেশি পরিমানে করটিকোএসটেরয়েড বা জৈব উপাদান দ্বারা চিকিৎসা করা হয় তাদের লাইফ ভ্যাকসিন দেয়া যাবে না (যেমন এন্টি রুমেলা, এন্টিস্্িরভালস, এন্টি প্যারোটাইটিস, এন্টি পলিও) অন্যথায় তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়। যে সব টিকার ভিতর বিগত ভাইরাস নাই শুধু মাত্র ইনফেকসাজ প্রোটিন আছে (এন্টি টিটেনাস, এন্টিডিপথেরিয়া এন্টি পলিও এন্টি হেপাটাইটিস, এন্টিপারটোসিম, নিউমোকক্কাস, হিমোফিলাস, সেনিনগেকিক্কাস) দেয়া যাবে। তথ্যগত ভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে তা টিকার কার্যকারীতা কমিয়ে দেয়। সেক্সুয়াল জীবন, গর্ভধারন ও জন্ম নিয়ন্ত্রন এর ব্যাপারে ধারনা কি ? এ রোগের জন্য সেক্সুয়াল এ্যাকটিভিটি ও গর্ভধারনের ব্যাপারে কোন বাধা নাই। তবে সর্বদাই বাচ্চার উপর ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। এরোগের জন্মগত কারনের জন্য বাচ্চা নেবার ব্যাপারে কোন বাধা নাই। এরোগ প্রানঘাতি না এবং একজনের হলে অন্য ভাইবোনের জুভেনাইল এসপিএ/ এ্যানথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস হবার সম্ভাবনাও নাই। বাচ্চা কিভাবে স্বাভাবিক পূর্ন বয়স্ক জীবন পাবে ? এটা চিকিৎসার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্যে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা অর্জন করা সম্ভব। বর্তমানে এ ধরনের রোগের চিকিৎসায় বাচ্চারা খুব দ্রুত উন্নতি লাভ করে। সম্মিলিতভাবে ঔষধ দ্বারা এবং পূর্ণবাসনের মাধ্যমে চিকিৎসা করলে বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রে গিটের ক্ষতি প্রতিরোধ করা যায় ।
evidence-based
consensus opinion
2016
PRINTO PReS
জুভেনাইল স্পনডাইলাইটিস/ এনথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস বলতে কি বুঝ ?
রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা।
প্রতিদিনের জীবন যাপন।



জুভেনাইল স্পনডাইলাইটিস/ এনথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস বলতে কি বুঝ ?

ইহা কি ?
জুভেনাইল এস পি এ/ এনথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস হলো গিটের দীর্ঘকালীন প্রদাহের রোগ যা একই সাথে টেনডন এবং লিগামেন্ট যেখানে হাড়ের সাথে লাগে সেখানে হয় এবং প্রধানত নি¤œাঙ্গ আক্রান্ত হয় এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে শ্রেনীচক্র এবং মেরুদন্ডের হাড়ের জোড়ায় হতে পারে (স্যাক্রোআইলাইটিস হিপ এর পেছনে বাইরের দিকে বর্ধিত অংশে ব্যাথা এবং স্পনডাইলাইটিস পেছনে ব্যাথা)। জুভেনাইল এসপিএ/ এনথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস বেশি হয় যাদের রক্তে জন্মগত উপাদান এইচ এল এ বি টুয়েনটি সেভেন পজিটিভ থাকে। এইচ এল এ বি টুয়েনটি সেভেন হলো একটা আমিষ যা ইমিউন কোষ এর বাইরের আবরনে থাকে। অদ্ভুতভাবে অল্প কিছু মানুষের এইচ এল এ বি টুয়েনটি সেভেন থাকলে গিটের প্রদাহ রোগ হয়। তাই এইচ এল এ বি টুয়েনটি লেভেন এর উপস্থিতি এই রোগের ব্যাখ্যার জন্য যথেষ্ট না । এখন পর্যন্ত এই রোগের উৎপত্তির জন্য এইচ এল এ বি টুয়েনটি সেভেন এর সঠিক ভুমিকা অজানা। যদিও এটা জানা যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গিটের প্রদাহ খাদ্যনালী অথবা মুত্রনালী এবং প্রজনন অঙ্গের সংক্রমনের জন্য হয় (একে বলে রিএকটিভ আর্থাইটিস)। জুভেনাইল এস পি এ/ এনথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস এর সাথে খুব স্পানডাইলাইটিস মিল আছে এবং বেশির ভাগ গবেষক বিশ্বাস করেন এই রোগ একইভাবে উৎপত্তি হয় এবং বৈশিষ্ট্য একই। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, "জুভেনাইল স্পনডাইলাইটিস" "এনথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস এবং কিছু সোরিয়াটিক আর্থাইটিস" এর রোগের ধরন ও চিকিৎসা একই রকম।

কি কি রোগকে জুভেনাইল এস পি এ/ এনথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস বলে ?
উপরে উল্লেখ করা হয়েছে জুভেনাইল স্পনডাইলাইটিস সমষ্টি রোগ যাদের রোগের বৈশিষ্ট্য একই রকম এবং এর ভিতর অন্তর্ভূক্ত এক্সিয়াল এবং পেরিফেরাল স্পনডাইলাইটিস এ্যনকাইলোজিং স্পনডাইলাইটিস, আনডিফারেনসিয়েটেড স্পনডাইলাইটিস, সোরিয়াটিক আর্থাইটিস, রিয়াকটিভ আর্থাইটিস, আর্থাইটিস যার সাথে ক্রনস রোগ এবং আলসারেটিভ কলাইটিস। এনথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস এবং সোরিয়াটিক আর্থাইটিস জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থাইটিস এর শ্রেনীবিন্যাস থেকে দুইটা আলাদা অবস্থা এবং জুভেনাইল এসপিএ এর সাথে সম্পর্কিত।

কি পরিমান লোকের মধ্যে এটা দেখা যায় ?
জুভেনাইল এসপিএ/ এনথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস বাচ্চাদের একটা অন্যতম প্রধান দীর্ঘস্থায়ী গিটের প্রদাহ এবং এটা মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের বেশি হয়। সারা পৃথিবীতে শতকরা ৩০ ভাগ বাচ্চাদের দীর্ঘস্থায়ী গিটের প্রদাহ আছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রথম রোগের উপসর্গ দেখা দেয় ৬ বছরের সময়। শতকরা ৮৬ ভাগ জুভেনাইল এসপিএ/ এনথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস এর রোগী এইচ এল এ বি টুয়েনটি সেভেন এর বাহক।

এ রোগের কারন কি ?
জুভেনাইল এসপিএ/ এনথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস এর কারন অজানায় যদিও এইচ এল এ বি টুয়েনটি সেভেন ও আরো কিছু জিন এর উপস্থিতি এ রোগের প্রবনতা বাড়ায়। এখন ধারনা করা হচ্ছে যে, এই রোগের সাথে সম্পর্কিত এইচ এল এ বি টুয়েনটি সেভেন যথাযথভাবে তৈরি হতে পারে না এবং যখন এটা কোষে ও তাদের উৎপাদিত উপাদানের সাথে পরস্পরের উপর ক্রিয়া করে তখন এ রোগ হতে পারে। এটা গুরুত্ব পূর্ণ যে, এইচ এল এ বি টুয়েনটি সেভেন এ রোগের কারন না কিন্তু এটা একটা সম্ভাব্য উপাদান।

এটা কি বংশগত রোগ ?
এইচ এল এ বি টুয়েনটি সেভেন এবং অন্যান্য জিন জুভেনাইল এসপিএ /এনথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস এর সম্ভাব্যতা বাড়ায়। আমরা জানি যে, এ রোগে আক্রান্ত শতকরা ২০ ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে প্রথম বা দ্বিতীয় ধাপের আতœীয় এর মধ্যে এ রোগ দেখা যায়। আমরা এসপিএ/ এনথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটি কে বংশগত বলতে পারি না। যাদের এইচ এল এ বি টুয়েনটি সেভেন থাকে তাদের শতকরা ০১ ভাগ লোকের এ রোগ হয়। অন্যভাবে বলা যায় শতকরা ৯৯ ভাগ লোক যাদের এইচ এল এ বি টুয়েনটি সেভেন আছে তাদের কখনো এসপিএ/এনথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস হয়না।

এটা কি প্রতিরোধ করা যায় ?
প্রতিরোধ করা সম্ভব না, যেহেতু এ রোগের কারন এখনও জানা যায় নাই। অন্যান্য ভাইবোন বা আতœীয়দের এইচ এল এ বি টুয়েনটি সেভেন করার কোন প্রয়োজন নাই যদি তাদের জুভেনাইল এসপিএ/ এনথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস এর কোন উপসর্গ না থাকে।

এটা কি সংক্রামক ?
জুভেনাইল এস পি এ/ এনথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস সংক্রামক রোগ না। সকল লোক একই সাথে একই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে সবার জুভেনাইল এসপিএ এনথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস হয় না।

প্রধান উপসর্গ কি ?
জুভেনাইল এস পি এ/ এনথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস রোগের সাধারন কিছু বৈশিষ্ট আছে।

গিটের প্রদাহ।
গিটের ব্যাথা ও ফুলা, একই সাথে নড়াচড়া কমে যাওয়া হলো সবচেয়ে সাধারন বৈশিষ্ট্য।
অনেক বাচ্চারাই নি¤œাঙ্গে ওলিগোআর্থাইটিস থাকে। ওলিগোআর্থাইটিস বলতে বুঝায় ৪ বা এর চেয়ে কম গিট আক্রান্ত হওয়া। যাদের দীর্ঘকালিন রোগ হয় তাদের ক্ষেত্রে পলিআর্থাইটিস হতে পারে। পলি আর্থাইটিস বলতে বুঝায় ৫ বা এর চেয়ে বেশি গিটে আক্রান্ত হওয়া। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হাটু, পায়ের গোড়ালী, পায়ের পাতা ও কোমড়ের গিট আক্রান্ত হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পায়ের পাতার ছোট গিটে আক্রান্ত হতে পারে।
কিছু বাচ্চার ক্ষেত্রে উর্ধাঙ্গের যেকোন গিট আক্রান্ত হতে পারে বিশেষ করে সোলডার।

এনথেসাইটিস
এনথেসাইটিস হলো এনথেসিস এর প্রদাহ (হাড়ের যেখানে টেনডন বা লিগামেন্ট লাগে)। এটা দ্বিতীয় অন্যতম প্রধান উপসর্গ যে সব বাচ্চাদের এসপিএ এনথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত এনথেসিস হলো পায়ের গোড়ালি, পায়ের পাতা এর মাঝামাঝি এবং নিক্যাপ। পায়ের গোড়ালির ব্যাথা, পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া ও ব্যাথা এবং হাটুর ক্যপসুলে ব্যাথা। দীর্ঘস্থায়ী এনথেসিস এর প্রদাহ বোনি এসপারস্ (হাড়ের বেশি বৃদ্ধি) করে এবং এ ফলে পায়ের গোড়ালির ব্যাথা হয় অনেক ক্ষেত্রে।

স্যাক্রোআইলাইটিস
স্যাক্রোআইলাইটিস বলতে স্যাক্রোইলিয়াক গিটের প্রদাহকে বুঝায় যা পেলভিস এর কাছাকাছি থাকে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা খুবই কম হয় এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটা গিটের প্রদাহের ৫ থেকে ১০ বছর পরে হয়।
অন্যতম প্রধান উপসর্গ পর্যায়ক্রমে পাছায় ব্যাথা।

পেছনে ব্যাথা, এসপনডাইলাইটিস
মেরুদন্ড আক্রান্ত খুব কম ক্ষেত্রেই হয়, কিছু বাচ্চার ক্ষেত্রে রোগের অনেক দিন পরে এটা হতে পারে। রাতে পেছনে ব্যাথা, সকালে গিটের অকার্যকারী এবং নড়াচড়া কমে যাওয়া অন্যতম প্রধান উপসর্গ। অনেক ক্ষেত্রেই পেছনে ব্যাথার সাথে ঘাড়ে ব্যাথা থাকে এবং অল্প কিছু ক্ষেত্রে বুকে ব্যাথা হতে পারে। অল্প কিছু রোগীর ক্ষেত্রে এ রোগের জন্য হাড়ের বেশি বৃদ্ধি হয় এবং মেরুদন্ডের হাড় কাছাকাছি চলে আছে এবং একটার সাথে একটা লেগে যায়, যদি রোগ বেশি দিন দীর্ঘস্থায়ী হয়। যদিও এটা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কখনো দেখা যায় না।

চোখ আক্রান্ত হওয়া।
এ্যাকুইট এ্যান্টেরিয়র ইউভাইটিস হলো চোখের আইরিস এর প্রদাহ। যদিও এই সমস্যা খুবই কম দেখা যায় তবে এক তৃতীয়াংশ রোগীর ক্ষেত্রে এক বা একাধিক বার এ সমস্যা হতে পারে।এ্যাকুইট এ্যানটেরিয়র ইউভাইটিস উপস্থাপিত হয় চোখে ব্যাথা, চোখ লাল হওয়া এবং চোখে ঝাপস্যা দেখা কয়েক সপ্তাহ ধরে। এটা সাধারনত এক বার এক চোখে হয় এবং বার বার হতে পারে। খুব দ্রুত একজন চক্ষু বিশেষষ্ণ ডাক্তার দেখিয়ে এটা নিয়ন্ত্রন করা উচিত। এধরনের ইউভাইটিস যেসব মেয়েদের অলিগোআর্থাইটিস বা এনটিনিউক্লিয়ার এনটিবডি থাকে তাদের থেকে আলাদা।

চামড়া আক্রান্ত হওয়া।
অল্প কিছু সংক্ষক বাচ্চা যাদের জুভেনাইল এস পি এ এ্যানথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস আছে তাদের ইতোসধ্যে সোরিয়ামিম আছে বা হতে পারে। এসব রোগীদেও এনথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস পরিবর্তন করে সোরিয়াটিক আর্থাইটিস বলা যায়। সোরিয়াসিস হলো দীর্ঘমেয়াদী চর্মরোগ যাতে কনুই ও হাটুতে প্যাচ অফ এসক্যালিং, ইসকিং থাকে। দীর্ঘদিনের চর্মরোগ গিটের প্রদাহকে তরান্নিত করে। অন্যান্য রোগীদের ক্ষেত্রে প্রথম সোরিয়াসিস এর দাগ দেখা দেবার আগেই বহু বছরের গিটের প্রদাহ থাকে।

খাদ্য নালী আক্রান্ত হওয়া।
কিছু বাচ্চা যাদের খাদ্যনালীর প্রদাহ অসুখ আছে যেমন ক্রোন স ডিজেজ এবং আলসারেটিভ কোলাইটিস তাদের স্পনডাইলাইটিস হতে পারে। এনথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস এর ভিতর খাদ্যনালীর প্রদাহ পরে না যদিও এটা এর একটা উপাদান। কিছু কিছু বাচ্চার খাদ্যনালীর প্রদাহ খাদ্যনালীর উপসর্গ ছাড়া থাকে এবং গিটের উপসর্গ খুববেশি থাকে, এদের সঠিক চিকিৎসা দরকার।

এই রোগটা কি সব বাচ্চার ক্ষেত্রে একই রকম হয় ?
যদিও কিছু বাচ্চার ক্ষেত্রে এ রোগ মৃদু এবং অল্প সময়ের অসুখ। অন্যদের ক্ষেত্রে এটা অত্যন্ত কড়া ও দীর্ঘস্থায়ী এবং অক্ষমকারী রোগ। অনেক বাচ্চার ক্ষেত্রে শুধু মাত্র একটা গিট আক্রান্ত হয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে এবং কখনোই একই চিত্র নিয়ে আসে না অথবা বাড়তি বৈশিষ্ট বাকি জীবনে, যদিও অন্যান্যদের বিভিন্ন গিটের রোগের উপসর্গ স্থায়ী হয়, এ্যানথেসাইটিস, মেরুদন্ড এবং স্যাক্রোআইলিয়াক গিট।

এ রোগ কি বড়দের চেয়ে বাচ্চাদের আলাদা ?
প্রথমদিকে জুভেনাইল এসপিএ /এনথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস পূর্নবয়স্ক এসপিএ থেকে আলাদা, কিন্তু বেশির ভাগ উপাত্ত ইঙ্গিত করে যে একই গোত্রের রোগ। হাত পায়ের গিটের রোগ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাচ্চাদের হয় তুলনামূলকভাবে মেরুদন্ডের এবং স্যাক্রোআইলিয়াক গিট বেশি আক্রান্ত হয় পূর্ণ বয়স্কদের । রোগের প্রকোপ বেশি বাচ্চাদের পূর্ণবয়স্কদের তুলনায়।


রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা।

কিভাবে রোগ নির্নয় করা হয় ?
চিকিৎসকগন জুভেনাইল এসপিএ/ এনথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস রোগ নির্ণয় করেন যদি প্রথম রোগের উপসর্গ দেখা দেয় ১৬ বছরের আগে গিটের প্রদাহ স্থায়ী হয় ৬ সপ্তাহের বেশি এবং উপরে উল্লেখ করা সংঙ্গ এবং উপসর্গের মত বৈশিষ্ট্য হয়। নির্দিষ্ট এসপিএ/ এনথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস এর রোগ নির্নয় করা হয় নির্দিষ্ট ক্লিনিক্যাল ও রেডিওলোজিক্যাল বৈশিষ্ট্য দিয়ে এটা পরিষ্কার যে এসব রোগীদের চিকিৎসা এবং ফলো আপ করা হয় শিশু বাত রোগ বিশেষষ্ণ বা পূর্নবয়স্কদের বাতরোগ বিশেষষ্ণ যাদের শিশুদের বাত রোগ বিষয়ে অভিজ্ঞকা আছ।

পরীক্ষার গুরুত্ব কি ?
এইচ এল এ বি টুয়ানটি সেভেন পরীক্ষা পজিটিভ হলে এটা খুবই উপকারী জুভেনাইল এসপিএ এনথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস রোগ নির্নয়ের জন্য বিশেষ করে একটা উপসর্গ যুক্ত বাচ্চাদের এটা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে শতকরা এক ভাগ এর ও কম লোক যাদের এই নির্দেশক উপস্থিত আছে তাদের স্পনডাইলাইটিস হতে পারে এবং এইচ এল এ কি টুয়ানটি সেভেন এর উপস্থিতি সাধারন লোকের মধ্যে শতকরা ১২ ভাগেরও বেশি, পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের উপর নির্ভর করে। এটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে অনেক বাচ্চারাই বিশেষ কিছু খেলা করলে আঘাত পায় এবং প্রাথমিক অবস্থায় এর উপসর্গ জুভেনাইল এসপিএ/ এ্যানথেসাইটিপস রিলেটেড আর্থাইটিস এর মত। এ কারনে শুধু এইচ এল এ বি টুয়ানটি সেভেন এর উপস্থিতি না বরং কিছু বৈশিষ্ট্যযুক্ত উপসর্গের সাথে এটা থাকলে এসপিএ/ এনথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস ইঙ্গিত করে।
উদাহরন স্বরূপ ইরাইথ্রোসাইট সোডিমেনটেশন রেট (ইএসআর) অথবা সি রিএ্যাকটিভ প্রোটিন (সিআরপি) সাধারন প্রদাহ সম্পর্কে তথ্য দেয় এবং পরোক্ষভাবে প্রদাহ জনিত রোগের সক্রিয়তা সম্পর্কে। ইহা খুবই উপকারী রোগের চিকিৎসার জন্য যদিও পরীক্ষাগারের পরীক্ষার চেয়ে ক্লিনিক্যাল উপসর্গেও ভিত্তিতেই প্রধানত চিকিৎসা করা হয়। পরীক্ষাগারের পরীক্ষা এ ছাড়াও করা হয় ঔধষের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষন করার জন্য।
এক্সরে করা হয় রোগের ক্রমবিকাশ দেখা এবং গিটের কোন ক্ষতি হয়েছে কিনা রোগের জন্য তা দেখা। যদিও বাচ্চাদের এস পি এ /এ্যানথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস এর ক্ষেত্রে এক্সরে এর গুরুত্ব সিমীত। বেশির ভাগ বাচ্চাদের এক্সরে স্বাভাবিক থাকে এবং কথন গিটের আল্ট্রাসনোগ্রাফি অথবা ম্যাগনেটিক রিজোনেনস ইমেজিং (এম আর আই) করে এবং এনথেসিস থাকলে এরোগের প্রাথমিক প্রদাহের ইঙ্গিত দেয়। এম আর আই দ্বারা রেডিয়েশন ব্যাবহার করা ছাড়াই স্যাক্রোআইলিয়াক অথবা মেরুদন্ডের গিটের প্রদাহ নির্নয় করা যায়। পাওয়ার ডপলার সিগনালসগ গিটের আল্ট্রাসনোগ্রাম করে পেরিফেরাল আর্থাইটিস এবং এ্যানথেসাইটিস এর প্রচন্ডতা সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়।

এটা কি চিকিৎসা করা যায়/ভাল হয় ?
দুর্ভাগ্যজনক যে এসপিএ /এ্যানথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস এর আরোগ্য লাভের চিকিৎসা এখনও নাই যেহেতু এর কারন অজানা। যদিও বর্তমান চিকিৎসা রোগের কার্যকারীতা নিয়ন্ত্রনে রাখা এবং গিটের কাঠামোর ক্ষতি প্রতিরোধ করার জন্য খুবই উপকারী।

এর চিকিৎসা কি ?
চিকিৎসা প্রধানত করা হয় ঔষধ দিয়ে এবং ব্যায়াম/ পূনর্বাসনের মাধ্যমে যা গিটের কার্যকারীতা বজায় রাখে এবং বিকলতা রোধ করে। এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, ঔষধের ব্যবহার নির্ভর করে স্থানীয় নিয়ন্ত্রনকারী সংস্থার অনুমোদন এর উপর।

নন স্টেরয়েডাল এন্টিইনফ্লামেটরী ঔষধ (এনএসএআইডিএস)
এই ঔষধগুলো প্রদাহ নিয়ন্ত্রনে এবং পরের জন্য ব্যবহৃত হয়। সিমটোমেটিক বলতে বুঝায় প্রদাহ জনিত উপসর্গ থাকা বেশির ভাগ বাচ্চাদের ক্ষেত্রেই ন্যাপ্রোক্সেন, ডাইক্লোফেন এবং আইবোপ্রুফেন ব্যবহৃত হয়। এগুলো ভালই সহনীয়, বেশির ভাগ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলো পাকস্থলির অস্বাচ্ছন্দতা বোধ করা যা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খুবই কম হয়। এনএসএআইডিএস একত্রিত করে ব্যবহার করা যুক্তিযুক্ত না, যদি একটা এনএসআইডি এর কার্যকারীতা কম হয় বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় তবে একটা পরিবর্তন করে অন্যটা দেয়া হয়।

করটিকোএসটেরয়েড
প্রচন্ড উপসর্গ যুক্ত রোগীর ক্ষেত্রে এ ঔষধ অল্প সময়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। টপিক্যাল (চোখের ফোটা) করটিকোএসটেরয়েড একুইট এ্যানটেরিয়র ইউভাইটিস এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। প্রচন্ড রোগের ক্ষেত্রে পেরিবালবার ইনজেকশন অথবা সিসটেমিক করটিকোএসটেরয়েড দেয়া হয়। গিটের প্রদাহ বা এনথেসাইটিস এর জন্য যদি করটিকোএসটেরয়েড ব্যাবহারের নির্দেশ দেয়া হয় তবে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে বাচ্চাদের এসপিএ/ এ্যানথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস এর জন্য এর কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তার বিষয়ে সটাডি আছে কিনা। কিছু ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ লোকের মতামত নেয়া এর ব্যবহারে সহায়তা করে।

অন্যান্য চিকিৎসা (ডিজেজ মডিফাইং ঔষধ)
সালফাসালাজিন
এসব ঔষধ নির্দেশ করা হয় যেসব বাচ্চাদের পেরিফেরাল ডিজেজ এর আবির্ভাব থাকে যদি যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয় এনএসআইডিএস এবং ইনট্রালেশনাল করটিকোএসটেরয়েড ইনজেকশন দিয়ে। সালফাসালজীন যোগ করা হয় পূর্বেও এসএসএআইডি চিকিৎসার সাথে (যা চালিয়ে যেকে হবে) এবং এর কার্যকারিতা দেখা যায় কয়েক সপ্তাহ অথবা মাস চিকিৎসার পর যদিও এসব বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সালফাসালজিন এর কার্যকারিতা খুবই সীমিত। একইসাথে এদের বহুল ব্যবহারের ফলে জুভেনাই এসপিএ/ এ্যানথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস এ মেথোট্রেক্সেট, লেফ্লুনামাইড অথবা এন্টিম্যালেরিয়াল ঔষধের কার্যকারীতার পরিষ্কার কোন প্রমান নাই।

জৈব উপাদান।
এই রোগের প্রাথমিক ধাপের চিকিৎসার এ্যান্টিটিউমর নেক্রোসিস ফ্যাকটর (টিএসএফ) অনুমোদিত কারন প্রদাহ জনিত উপসর্গ চিকিৎসায় এর কার্যকারীতা যথেষ্ট। প্রচন্ড জুভেনাইল এসপিএ/ এ্যানথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস এর রোগীদের ক্ষেত্রে এসব ঔষধের কার্যকারীতা ও নিরাপত্তার বিষয়ে প্রমান আছে। এসব প্রমানাদি স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রধানদের নিকট পেশ করা হয়েছে এবং অপেক্ষা করা হচ্ছে এসপিএ /এ্যানথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস এ এদের অনুমোদিত ব্যবহারের। ইউরোপীয় কিছু দেশে ইতিমধ্যে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এ্যান্টি টিএনএফ উপাদানের ব্যবহার অনুমোদিত।

গিটে সুচি প্রয়োগ
গিটে সুবিধা প্রয়োগ করা হয় যখন একটি অথবা খুব কম গিট আক্রান্ত হয় এবং যখন দীর্ঘদিনের গিটের বিকলতা করে। সাধারনভাবে দীর্ঘকার্যকারী করটিকোএসটেরয়েড সুচি প্রয়োগের মাধ্যমে দেয়া হয়। এটা অনুমোদিত যে শিশুদের হাসপাতাল এ ভর্তি করে ঘুম পাড়িয়ে রাখতে হবে এ প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পাদন করার জন্য ।

হাড় সম্মন্ধিয় শৈল্যচিকিৎসা।
শৈল্য চিকিৎসা প্রধানত নির্দেশ দেয়া হয় প্রচন্ড গিটের ক্ষতি বিশেষ করে হিপ এ যখন প্রোসথেটিক গিট প্রতিস্থাপন করা হয়।

ব্যায়াম
ব্যায়াম চিকিৎসার একটা প্রয়োজনীয় উপাদান। এটা প্রথমেই শুরু করতে হবে এবং চলার গতি সঠিকভাবে চালানো, মাংশপেশীর বর্ধন ও বল সন্ধিগত বিকলতা সংশোধন করার জন্য এটা নিয়মিত করতে হবে। যদি এ্যাক্সিয়াল আক্রান্ত সুস্পষ্ট হয় সে ক্ষেত্রে মেরুদন্ড অবশ্যই কার্যকর রাখতে হবে এবং শ্বাস প্রশ্বাস সম্মর্কীয় ব্যায়াম করতে হবে।

ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি ?
জুভেনাইল এস পি এ/এ্যানথেসাইটস রিলেটেড আর্থাইটিস এ যে সব ঔষধ ব্যবহার করা হয় তা ভাল সহনীয়।
সালফাসালাজিন ন্যায় সংগত ভাবে ভালই সহনীয়। অন্যতম প্রধান পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলো পাকস্থলীর সমস্যা, যকৃতের এনজাইম বেড়ে যাওয়া, রক্তে শ্বেত রক্ত কনিকার সংখ্যা কমে যাওয়া এবং চামড়ার প্রতিক্রিয়া। সম্ভাব্য ক্ষতি দেখার জন্য বারবার পরীক্ষাগারের পরীক্ষা করতে হবে।
সালফাসালাজিন ন্যায় সংগত ভাবে ভালই সহনীয়। অন্যতম প্রধান পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলো পাকস্থলীর সমস্যা, যকৃতের এনজাইম বেড়ে যাওয়া, রক্তে শ্বেত রক্ত কনিকার সংখ্যা কমে যাওয়া এবং চামড়ার প্রতিক্রিয়া। সম্ভাব্য ক্ষতি দেখার জন্য বারবার পরীক্ষাগারের পরীক্ষা করতে হবে।
বেশি পরিমান করটিকোএসটেরায়ড যদি দীর্ঘদিন ধরে দেয়া হয় তবে প্রচন্ড থেকে প্রচন্ডতর ক্ষতি হতে পারে শারীরিক বৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং অসটিও পোরেসিস। বেশি পরিমান করটিকোএসটেরায়ড ক্ষুধা বাড়ায় এবং মারাতœক ভাবে ওজন বাড়ে। এটা এজন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে শিশুদের শিক্ষা দিতে হবে যে খাবারে ক্যালরী বাড়ায় না তা খাওয়া।
বশেি পরমিান করটকিোএসটরোয়ড যদি র্দীঘদনি ধরে দয়ো হয় তবে প্রচন্ড থকেে প্রচন্ডতর ক্ষতি হতে পারে শারীরকি বৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং অসটওি পোরসেসি। বশেি পরমিান করটকিোএসটরোয়ড ক্ষুধা বাড়ায় এবং মারাতœক ভাবে ওজন বাড়।ে এটা এজন্য খুবই গুরুত্বর্পূণ যে শশিুদরে শক্ষিা দতিে হবে যে খাবারে ক্যালরী বাড়ায় না তা খাওয়া।

কতদিন পর্যন্ত চিকিৎসা চালাতে হবে ?
উপসর্গ সম্মন্ধীয় চিকিৎসা দিতে হবে যতদিন উপসর্গ থাকে এবং রোগের সক্রিয়তা থাকে। রোগের স্থিতিকাল কিছু রোগীদের ক্ষেত্রে এনএসএআইডিএস গিটের প্রদাহে খুবই ভাল কার্যকরী। এসব রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসা তাড়াতাড়ি বন্ধ করতে হবে। কয়েক মাসের ভিতর। অন্য রোগীদের ক্ষেত্রে যাদের দীর্ঘস্থায়ী রোগ অথবা রোগের গতি আক্রমনাতœক তাদের অনেক বছর ধরে সালফাসালাজিন এবং অন্যান্য ঔষধ দরকার সব ঔষধ বাদ দিতে হবে যদি দীর্ঘদিন ধরে এবং সম্পূর্ণভাবে ঔষধের মাধ্যমে রোগ নিষ্কৃত থাকে।

আনকনভেনশনাল /পরিপূরক চিকিৎসা কি ?
অনেক পরিপূরক এবং বিকল্প চিকিৎসা আছে এবং ইহা রোগী ও তাদের পরিবারকে এলোমেলো করে। সাবধানতা সহকারে এদের ক্ষতি ও উপকারীতা সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে যেহেতু এদের ্্উপকারীতার প্রমান খুবই সামান্য এবং এগুলো খুবই দামী যেহেতু দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে হয়। যদি তুমি আবিষ্কারের উদ্দেশ্যে পরিপূরক এবং বিকল্প চিকিৎসা দিতে চাও, তাহলে শিশু বাত বিশেষষ্ণ এর সাথে আলোচনা করতে হবে। কিছু চিকিৎসা প্রচলিত ঔষধের উপর ক্রিয়া করতে পারে। ডাক্তাররা বন্ধ দিবেনা এবং চালিয়ে যাবে চিকিৎসা বিষয়ক উপদেশ। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা পত্রের ঔষধ বন্ধ না করা। যখন রোগ নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য ঔষধের দরকার হবে এবং রোগ যদি কার্যকরী থাকে তখন ঔষধ বন্ধ করা খুবই বিপদজনক।

এ রোগ কতদিন স্থায়ী হয় ? এ রোগের ভবিষ্যত কি ?
বিভিন্ন রোগীর ক্ষেত্রে এরোগের গতি বিভিন্ন ধরনের। কিছু রোগীর ক্ষেত্রে গিটের প্রদাহ চিকিৎসার দ্বারা খুব দ্রুত ভাল হয়। অন্যদের ক্ষেত্রে এ রোগের বৈশিষ্ট্য হলো নিয়মিত ব্যবধানে রোগ ভাল হওয়া এবং রোগের আবির্ভাব হওয়া। শেষ পর্যন্ত অন্যান্য রোগীদের ক্ষেত্রে গিটের প্রদাহ অবিরাম গতিতে হয়। বেশির ভাগ রোগীদের ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় রোগের উপসর্গ পেরিফেরাল গিটের প্রদাহ এবং এ্যানথেসাইটিস। রোগের ক্রমবৃদ্ধি হলে কিছু শিশুদের ক্ষেত্রে স্যাক্রোআইলিয়ক এবং মেরুদন্ডের গিট আক্রান্ত হতে পারে। যে সব রোগীদের দীর্ঘকালীন পেরিফেরাল গিটের প্রদাহ এবং অ্যাক্সিয়াল উপসর্গ থাকে তাদের পূর্ণবয়স্ক অবস্থায় গিটের ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। রোগের শুরুতেই দীর্ঘকালীন ফল সম্পর্কে ভবিষ্যত বলা অসম্ভব। যথাযথ চিকিৎসা রোগের গতি ও ফলাফলকে তরান্বিত করতে পারে।


প্রতিদিনের জীবন যাপন।

কিভাবে এ রোগ শিশু এবং তাদের পরিবারের প্রতিদিনের জীবন যাপন প্রভাবিত করে।
প্রায়সব বাচ্চাদেরই সক্রিয় গিটের প্রদাহে প্রতিদিনের জীবন যাপন সীমাবন্ধতা পরিলক্ষিত হয়। যেহেতু নি¤œাঙ্গ আক্রান্ত হয় তাই এ রোগে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হাটা এবং খেলাধুলার সমস্যা হয়। এই রোগের সাথে সম্পর্কিত অসুবিধাগুলো অতিক্রম করার জন্য, স্বনির্ভরতা ও দৈহিকভাবে সচল থাকার জন্য অভিভাবকদের সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি তেিদর এরোগের বোঝা বহন করতে না পারে বা কঠিন মনে করে তবে মানসিক সাহায্য প্রয়োজন। পিতামাতা তাদের বাচ্চাদের ব্যায়াম করতে এবং নির্দেশনা মত ঔষধ খাওয়াতে উৎসাহ দিবে ও সাহায্য করবে।

বিদ্যালয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কি ?
কিছু ব্যাপার আছে যা বাচ্চাদের স্কুলে উপস্থিতির ব্যাপারে সমস্যা করে যেমন হাটা, ক্লান্তিভাব, ব্যাথা অথবা গিট অনমনীয়। তাই শিশুদের শিক্ষকদের জানানোও খুব গুরুত্বপূর্ণ যথাযথ টেবিল, নিয়ামত নড়াচড়া স্কুলে থাকাকালীন সময় গিটের অনমনীয়তা প্রতিরোধ করার জন্য যখন তাদের রোগটা নিয়ন্ত্রনে থাকবে তখন তাদের সমবয়সি অন্যান্য বাচ্চাদের মত একই ধরনের কাজে অংশ গ্রহন করতে বাধা থাকবে না।
বিদ্যালয় হল একটা শিশুর সেই জায়গা যা তাকে শিক্ষা দেয় কিভাবে স্বনির্ভর ও সক্ষম লোক হওয়া যায়। পিতামাতা এবং শিক্ষকরা তাদের সহায়তা করবে কিভাবে তারা বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কাজে অংশ গ্রহন করতে পারবে। শুধুমাত্র বিদ্যালয়ের কাজ সফলতার সাথে করা না, এ ছাড়াও তার সমবয়সী বাচ্চা এবং বড়দের মত সবকিছু গ্রহন করতে পারে এবং মূল্যায়ন করতে পারে।

খেলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কি ?
নিয়মিত খেলাধুলা করা একটা স্বাভাবিক বাচ্চার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যেসব খেলাধুলা গিটের উপর চাপ কম দেয় বা দেয় না যেমন সাঁতার, সাইকেল চালানো অনুমোদিত।

খাবারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কি ?
এমন কোন প্রমানাদি নাই যে খাবার এ রোগ বাড়ায়। স্বাভাবিক ভাবে বাচ্চারা তাদের বয়স অনুসারে সুষম ও স্বাভাবিক খাবার খাবে। যেসব বাচ্চারা করটিকোএসটেরয়েড পায় তারা অতিরিক্ত খাওয়া বাদ দিবে কারন এ ঔষধ ক্ষধা বাড়ায়।

এ রোগের গতি কি আবহাওয়া তরন্বিত করে ?
এ রোগরে গতি কি আবহাওয়া তরন্বতি করে ?

বাচ্চারা কি টিকা নিতে পারবে ?
যেহেতু বেশিরভাগ বাচ্চারাই এনএসআইডিএম বা সালফাসালাজিন এর মাধ্যমে চিকিৎসা পায় তাই তারা স্বাভাবিক নিয়মে টিকা নিতে পারবে। যে সব বাচ্চাদের বেশি পরিমানে করটিকোএসটেরয়েড বা জৈব উপাদান দ্বারা চিকিৎসা করা হয় তাদের লাইফ ভ্যাকসিন দেয়া যাবে না (যেমন এন্টি রুমেলা, এন্টিস্্িরভালস, এন্টি প্যারোটাইটিস, এন্টি পলিও) অন্যথায় তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়। যে সব টিকার ভিতর বিগত ভাইরাস নাই শুধু মাত্র ইনফেকসাজ প্রোটিন আছে (এন্টি টিটেনাস, এন্টিডিপথেরিয়া এন্টি পলিও এন্টি হেপাটাইটিস, এন্টিপারটোসিম, নিউমোকক্কাস, হিমোফিলাস, সেনিনগেকিক্কাস) দেয়া যাবে। তথ্যগত ভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে তা টিকার কার্যকারীতা কমিয়ে দেয়।

সেক্সুয়াল জীবন, গর্ভধারন ও জন্ম নিয়ন্ত্রন এর ব্যাপারে ধারনা কি ?
এ রোগের জন্য সেক্সুয়াল এ্যাকটিভিটি ও গর্ভধারনের ব্যাপারে কোন বাধা নাই। তবে সর্বদাই বাচ্চার উপর ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। এরোগের জন্মগত কারনের জন্য বাচ্চা নেবার ব্যাপারে কোন বাধা নাই। এরোগ প্রানঘাতি না এবং একজনের হলে অন্য ভাইবোনের জুভেনাইল এসপিএ/ এ্যানথেসাইটিস রিলেটেড আর্থাইটিস হবার সম্ভাবনাও নাই।

বাচ্চা কিভাবে স্বাভাবিক পূর্ন বয়স্ক জীবন পাবে ?
এটা চিকিৎসার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্যে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা অর্জন করা সম্ভব। বর্তমানে এ ধরনের রোগের চিকিৎসায় বাচ্চারা খুব দ্রুত উন্নতি লাভ করে। সম্মিলিতভাবে ঔষধ দ্বারা এবং পূর্ণবাসনের মাধ্যমে চিকিৎসা করলে বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রে গিটের ক্ষতি প্রতিরোধ করা যায় ।


 
সাহায্যকারী
This website uses cookies. By continuing to browse the website you are agreeing to our use of cookies. Learn more   Accept cookies